পার্বত্য চুক্তি বাংলাদেশ সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে।

0

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাংলাদেশ সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। এই চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে, সে সাথে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে অত্র অঞ্চলে। এর ফলে এই অঞ্চলে সংঘাত হানাহানি ভেদাভেদ ও জাতিগত বৈষম্য চরম আঁকারে ধারণ করেছে। এই চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাংলাদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একচেটিয়াভাবে উপজাতি জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে চুক্তি সম্পাদক করা হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী রাস্ট্রের সরকার ও জনগণ দেশের সর্বত্র জায়গা জমি ক্রয়-বিক্রয় করিতে পারিবেন। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার, এবং বাঙ্গালী জনগণ জায়গা জমি ক্রয়-বিক্রি পাহাড়ে করিতে পারিবেন না। এটা কোনভাবেই সংবিধান ও আইন সম্মত নয়। পার প্রেক্ষিতে পার্বত্য চুক্তির অসাংবিধানিক ধারা সংশোধন ও বাতিলের দাবি তীব্র হচ্ছে দিনদিন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির অসাংবিধানিক কিছু ধারা ও কার্যক্রম পাঠকের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরলাম-

২৬) ৬৪ নম্বর ধারা সংশোধন করিয়া নিম্নোক্তভাবে এই ধারাটি প্রণয়ন করা হইবে :

(ক) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পার্বত্য জেলার এলাকাধীন বন্দোবস্তযোগ্য খাসজমিসহ কোন জায়গা-জমি পরিষদের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে ইজারা প্রদানসহ বন্দোবস্ত, ক্রয়, বিক্রয় ও হস্তান্তর করা যাইবে না।

তবে শর্ত থাকে যে, রক্ষিত (Reserved বনাঞ্চল, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ এলাকা, রাষ্ট্রীয় শিল্প কারখানা ও সরকারের নামে রেকর্ডকৃত ভূমির ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হইবে না।

(খ) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ও আওতাধীন কোন প্রকারের জমি, পাহাড় ও বনাঞ্চল পরিষদের সাথে আলোচনা ও ইহার সম্মতি ব্যতিরেকে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ ও হস্তান্তর করা যাইবে না।

(গ) পরিষদ হেডম্যান, চেইনম্যান, আমিন, সার্ভেয়ার, কানুনগো ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)দের কার্যাদি তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে।

(ঘ) কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাষা (Fringe Land) জমি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমির মূল মালিকদেরকে বন্দোবস্ত দেয়া হইবে।

২৭) ৬৫ নম্বর ধারা সংশোধন করিয়া নিম্নোক্তভাবে এই ধারা প্রণয়ন করা হইবে। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জেলার ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের দায়িত্ব পরিষদের হস্তে ন্যস্ত থাকিবে এবং জেলায় আদায়কৃত উক্ত কর পরিষদের তহবিলে থাকিবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More