আমি রােবায়েত ফেরদৌসকে বলবো, সহবত না জানা এক ভয়ঙ্কর প্রকৃতির বেয়াদব।

0
ছবি: রুবায়েত ফেরদৌস অনলাইন থেকে সংগৃহীত

রােবায়েত ফেরদৌস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৭ সালে গণযােগাযােগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যােগ দেন; এখন অধ্যাপক।

রােবায়েত ফেরদৌস নাকি আবার RTV উপস্থাপক ও সাংবাদিক!
এই বেয়াদব কর্তৃক প্রতিনিয়ত-
রাষ্ট্র, পার্বত্য বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীকে ধমকানো হচ্ছে; শাসানো হচ্ছে; অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে;
চোখ রাঙিয়ে গলা উচিয়ে; অভদ্র,অসভ্য ভাষায়; ঔদ্ধত্য অঙ্গভঙ্গিতে। তার এমন দুঃসাহস কীভাবে হয়? প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কীভাবে নীরব থাকছে?

আমি তাকে বলবো, সহবত না জানা এক ভয়ঙ্কর প্রকৃতির বেয়াদব। রাষ্ট্রীয় উদাসীন নীতির ফলে সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গাদ্দারী করেও বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে৷

টকশো, সভা, সেমিনারে পার্বত্য বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঢালাও মন্তব্য এবং বিষোদগার প্রতিনিয়ত করে আসছে। এর ফলে দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে রাষ্ট্রের ভূমিকা বিষয়ে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

তার মত গুরুত্বহীন মানুষকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসার মূল কারণ সাম্প্রতিক সময়ে তার একটি ভিডিও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হয়েছে। তার এ বক্তব্য সম্পন্ন রাষ্ট্রবিরোধী এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি ও সেনাবাহিনী বিরোধী।

তথাকথিত আদিবাসী ফোরাম এর ৫ম সম্মেলনে বক্তা হিসেবে রােবায়েত ফেরদৌস রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন ও ইসলামীকরণ চলছে এবং আদিবাসীদের উপর রাষ্ট্রীয়ভাবে দমনপীড়ন চলছে৷” অথচ বাংলাদেশ সংবিধানের ২৩ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এবং ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি শর্ত অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিস্বত্বাকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি সংবিধান অবমাননা করে ‘আদিবাসী শব্দ’ ব্যবহার করে আসছেন। বারবার সরকারের পক্ষ হইতে আদিবাসী শব্দ ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করার পরেও তার আদিবাসী শব্দ ব্যবহার রাষ্ট্রের সাথে গাদ্দারী করার শামিল। এটা রাষ্ট্রের সাথে ধৃষ্টতা প্রদর্শনও বটে।

রােবায়েত ফেরদৌস একজন বিতর্কিত ব্যক্তি এবং নীতিহীন ব্যক্তি; আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীর লবিং হিসেবে কাজ করেন; পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ পার্বত্য পরিবেশ অস্থিতিশীল করে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন করতে তিনি গভীর ষড়যন্ত্রের মিশনে লিপ্ত হয়েছেন; বাম ধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকেই দুই যুগের বেশি সময় ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার, কটুক্তি ও নানান মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার প্রচেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে পার্বত্য চুক্তিতে উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও কোথায় আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়নি। দুঃখজনক যে, রুবায়েত ফেরদৌস চুক্তিকে অপব্যাখার অংশ হিসেবে মিথ্যা তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করেছে। এবং রাষ্ট্র কর্তৃক এ অঞ্চলের উপজাতি জনগোষ্ঠীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ করার মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এ অঞ্চলের বাঙ্গালীদের প্রতি তার বিরূপ ধারণা ও প্রতিক্রিয়া জানানোর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া গেছে। বিদেশী এনজিও, মিশনারী ও দাতাসংস্থাগুলো থেকে অর্থ পেয়ে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করেন৷ টকশো, সভা-সেমিনারে প্রদান করা তার বক্তব্যগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রতিয়মান হয় যে, উক্ত ব্যক্তি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীর লবিং হিসেবে কাজ করছে। তারজন্য উপজাতি জনগোষ্ঠীকে বিশেষ স্বার্থে আদিবাসী বানাতে উড়ে পড়ে লেগেছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী ও বাঙ্গালীকে বিতাড়িত করতে নানান মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে৷

বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনী এবং রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড কিন্তু রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তার মত অকৃতজ্ঞের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা উচিত৷ তাকে যদি যথা সময়ে থামানো না হয় সে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরো ভয়ঙ্কর মিথ্যাচারের আশ্রয় নিবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More