সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা বলয় না থাকলে পার্বত্য হবে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের মত অবিকল স্বাধীন রাষ্ট্র।

0

বাংলাদেশের এক-দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম সৌন্দর্যের লীলাভূমি সম্ভাবনাময় এক অঞ্চল। পার্শ্ববর্তী দুটি দেশের সীমান্তবর্তী খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে শকুনের নজর পড়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদ ও ভৌগোলিক বিবেচনায় এই অঞ্চলের গুরুত্ব অনেক। তাই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অবৈধ অস্ত্র এবং বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা দিয়ে বাংলার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। এই ভূস্বর্গ রক্ষা করতে এই অঞ্চলে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। অত্রাঞ্চলে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা বলয় না থাকলে পার্বত্যচট্টগ্রাম হবে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর কিংবা দক্ষিণ সুদানের মত অবিকল স্বাধীন রাষ্ট্র। আর বাংলাদেশে হারাবেই ভূস্বর্গ এক-দশমাংশ।

অনেক লেখাই উল্লেখ করা হয় পার্বত্য বাঙ্গালীদের দুর্বল করতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী একাধিক গ্রুপে বিভক্ত করে দিয়েছে। সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় পার্বত্য বাঙ্গালীদের মধ্যে এমন একটি সেন্টিমেন্ট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে যে, সেনাবাহিনীর পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রয়োজনীয়তা নেই! পার্বত্য বাঙ্গালীদের মধ্যে যারা সচ্ছল তারা সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনা। তারা এটা অনুভব করেনা যে, সেনাবাহিনী না থাকলে তাদের নিরাপত্তা ও অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে৷

পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে গিয়ে এবং এ অঞ্চলের রাষ্ট্রীয় অখন্ডতার স্বার্থে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বরাবরই স্বজাতি কর্তৃক হয়রানির শিকার হয় এবং অপ্রিয় সত্য হল একটি মহল কর্তৃক ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয় বেশি।

বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর পক্ষে কথা বলার কারণে থামানোর অংশ হিসেবে গভীর ষড়যন্ত্র করা হয় প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে৷ যারা এই ষড়যন্ত্র করে তারা সকলেই চিহ্নিত। যারাই ষড়যন্ত্র করেছে তাদের কাছে রাষ্ট্রীয় স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তি স্বার্থ এবং সন্ত্রাসীদের স্বার্থ প্রাধান্য ছিল বেশি। খ্যাতিমান কবি মহাদেব সাহার কবিতাটি প্রতিবাদীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য-
সুন্দরের হাতে আজ হাতকড়া, গোলাপের বিরুদ্ধে
হুলিয়া,
হৃদয়ের তর্জমা নিষিদ্ধ আর মননের সম্মুখে প্রাচীর
বিবেক নিয়ত বন্দী, প্রেমের বিরুদ্ধে পরোয়ানা;
এখানে এখন পাখি আর প্রজাপতি ধরে ধরে
কারাগারে রাখে-
সবাই লাঞ্ছিত করে স্বর্ণচাঁপাকে;
সুপেয় নদীর জলে ঢেকে দেয় বিষ, আকাশকে
করে উপহাস।
আলোর বিরুদ্ধাচারী আঁধারের করে শুধু স্ততি,
বসন্তের বার্তা শুনে জারি করে পূর্বাহ্নে কারফিউ,
মানবিক উৎসমুখে ফেলে যতো শিলা ও পাথর-
কবিতাকে বন্দী করে, সৌন্দর্যকে পরায় শৃঙ্খল।

পার্বত্য বাঙ্গালীদের একাধিক গ্রুপে বিভক্ত করে দিয়ে সন্ত্রাসীরা ইবলিশের মত খিলখিল করে হাসছে আর বাঙ্গালী দালাল, মীরজাফর ও সুবিধাভোগীরা রাষ্ট্রের স্বপক্ষের বাঙ্গালীদের দমনে মগ্ন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More