কেএনএফ কে সরকার আর সুযোগ না দিয়ে শক্ত হাতে দমন করা হোক।

0

সেনাবাহিনী ও সরকার কতটা মানবিক, নাথানা লনচেও প্রকাশ নাথান বম এর দেশদ্রোহীতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পরে তার স্ত্রীকে সরকারি চাকরি থেকে চাকরিচ্যুত করেনি। এই উদাহরণ থেকে বুঝা যায় আমাদের সেনাবাহিনী ও সরকার অনেক উদার ও মানবিক। কোনো গোলাগুলি ছাড়া সেনা ও নিরীহ মানুষ হত্যা করা কোন রাষ্ট্র মেনেই নিবে না। আমাদের রাষ্ট্র উদার ও মানবিক বলেই উপজাতিদের প্রতি সহনশীল আচরণ করছে৷ যার প্রেক্ষিতে আজ উপজাতিরা দেশভাগের ষড়যন্ত্র করতে দুঃসাহস প্রদর্শন করার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। সরকারের উচিত এই বিশ্বাসঘাতক বেইমান দেশদ্রোহীদের আর সুযোগ না দিয়ে দমন করা।

কেএনএফ প্রতিষ্ঠাতা এই নাথান বম এর পরিবারের সদস্যরা, ভাই-বোন, স্ত্রী অন্যান্য আত্মীয় স্বজন এবং বোম সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ অনুসারীরাই প্রতিনিয়ত সেনাবাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে সবধরনের খবরাখবর কেএনএফ তথা নাথান বম এর নিকট পাঠায়। স্ত্রী লাল সমকিম বম বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স হিসেবে চাকরি করেন। তার স্ত্রী লাল সমকিম বম এখানে স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করছে তাকে নিরাপত্তা বাহিনী কোনপ্রকার বাধা দিচ্ছেনা। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কুকি ন্যাশনাল আর্মি’র প্রতিষ্ঠাতা নাথান বম এর দেশদ্রোহীতামূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুশোচনা প্রকাশ করেনা। স্ত্রীর দাবি নাথান বম জাতির অধিকারের জন্য এসব করছে। তার স্ত্রীর কথা ও কর্মকাণ্ডে প্রতিয়মান হয় যে, তার সঙ্গে নাথান বম এর নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে৷ এটা সে স্বীকার না করলেও তার কথায় স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।

কেএনএফ সন্ত্রাসীরা চলতি বছরে ৫ জন সেনাসদস্যকে হত্যা করে এবং কয়েকজন নিরীহ পাহাড়ি-বাঙ্গালীকে হত্যা করে এবং চাঁদার জন্য অহরহ মানুষকে অপহরণ অব্যাহত রেখেছে৷ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদান করছে। এই কেএনএফ এর বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অভিযোগ, তারা একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত রেখে কাজ করছিল। বিষয়টি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে প্রকাশ পায়। কেএনএফ কুকি-চিন জাতিগোষ্ঠীভুক্ত- বম, খিয়াং, ম্রো, খুমি, লুসাই, পাংখোয়াসহ ৬টি জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে কাজ করে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু উক্ত ৬টি জাতিসত্বার প্রতিনিধিগণ জানিয়েছে, কেএনএফ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, তাদের সঙ্গে ৬টি জাতিগোষ্ঠীের কোন সম্পর্ক নেই। মূলত কেএনএফ এর বেশিভাগ সদস্য বম সম্প্রদায় হইতে। প্রায় তের হাজার বম জনগোষ্ঠীর মধ্য হইতে দুই বা তিন শতাধিক বা ততোধিক উগ্র যুবক কেএনএফ যোগদান করে। বম যুবক দ্বারা গঠিত কেএনএফ পার্বত্য চট্টগ্রামের দু’টি জেলার বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলিকদমসহ মোট ৯টি উপজেলা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা ‘খ্রিস্টান কুকিল্যান্ড’ নামক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য সশস্ত্র যাত্রা শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ট্রেনিং এর প্রস্তুতি প্রকাশ এবং সাম্প্রতিক সময়ের কর্মকাণ্ড এই বার্তায় দেয়। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মায়ানমার এর বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো হইতে অস্ত্র সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তারা। এবং প্রতিবেশী দেশ দুটিতে রয়েছে কুকি-চিন জনগোষ্ঠীর জ্ঞাতিগুষ্টি জো জাতি৷ তারাও সমর্থন করে এবং আশ্রয়-প্রশ্রয় প্রদান করে কেএনএফ কে।

কেএনএফ সন্ত্রাসীগোষ্ঠী শুরুতে সামাজিক বা সেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং ছোট্ট পরিসরে যাত্রা শুরু করেই পরবর্তীতে এর শিকড় এতটাই শক্তিশালী হয় যার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্র তাদের বিষয়ে নতুন করে ভাবনার অবকাশ তৈরি হয়েছে। বলা যায় তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে৷ ডালপালা গজিয়ে গেছে। তারা এখন চাঁদার জন্য সাধারণ মানুষ অপহরণ ও খুন-গুম করে এবং প্রতিনিয়ত সেনাবাহিনীর উপর আইইডি বোমা মাইন পুঁতে রেখে চোরাগোপ্তা হামলা করে। তাদের এ হামলায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নিরিহ মানুষ নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নাথান বম এর কেএনএফকে সরকার আর সুযোগ না দিয়ে শক্ত হাতে দমন করার সময় এসেছে। এই কথাটি বলছি এজন্যই যে, ভবিষ্যতে কেএনএফ এর দেখাদেখি অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী যেনো রাষ্ট্রের সাথে এই চরম দুঃসাহস প্রদর্শন করার ধৃষ্টতা দেখাতে না পারে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More