ঘুমধুম সীমান্তে ৪০০ চাকমা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়।

0

পার্বত্য চট্টগ্রাম বা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে কোনভাবে উপজাতিরা অনুপ্রবেশ করতে পারলেই এদেশের বাসিন্দা হয়ে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করাসহ নিজেদের ভূমিপূত্র দাবি করা সহজ। এমনই ঘটার দারপ্রান্তে ঘুমধুম।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের ভেতরে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ ও বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দাদের সেখানে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব এলাকার অন্তত ৪০০ বাসিন্দা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। তারা সবাই চাকমা সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারী ৪০০ চাকমা খাদ্যাভাব ও ঝুঁকির কারণে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু নতুন করে মিয়ানমার থেকে কাউকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে ।

এর আগে দুপুরে টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া পয়েন্ট দিয়ে ৫ জনের একটি রোহিঙ্গা পরিবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। পরে তাদের ফিরিয়ে দেয় বিজিবি।

টেকনাফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, হোয়াইক্যং উলুবনিয়া পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা একটি পরিবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। বিজিবি তাদের পুশব্যাক করে। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি কঠোর অবস্থানে আছে।

উল্লেখ্য যে, সময় সময়েই প্রতিবেশী দেশগুলো হইতে যুদ্ধে বা বিভিন্নভাবে বিতাড়িত হয়ে উপজাতিরা বাংলার ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে এদেশে বর্তমানে নিজেদের আদিবাসী দাবি করছে এবং সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিজেদের ভূমি হিসেবে দাবি করে বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের জন্য সোচ্চার হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More