বিলাইছড়ি ফারুয়াতে সেনা টহল বন্ধ করতে জেএসএস তথ্য সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে।

0

ফারুয়ায় সেনাবাহিনী কর্তৃক দুই জুম্মকে মারধর, বাড়ি তল্লাশির প্রকাশিত খবরটি মিথ্যা ও বানোয়াট।

জেএসএস অর্থায়নে পরিচালিত Hill Voice নামক নিবন্ধনবিহীন অনলাইন পোর্টালটি অবিরত সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রকাশ করে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার চেষ্টা করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নে তাংকোয়তাং সেনাক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার কর্তৃক দুই জুম্মকে মারধর ও একই ইউনিয়নের ফারুয়া সেনা সাবজোন থেকে একদল সেনাসদস্য কর্তৃক ১ জুম্মর বাড়ি ঘেরাও করে ব্যাপক তল্লাশি করার একটি মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেছে জেএসএস! সত্যতা অনুসন্ধানে জানা যায়, ফারুয়া ইউনিয়ন জেএসএস নিয়ন্ত্রণ একটি এলাকা। এই এলাকায় জেএসএস এর আগে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে সেনাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুই মারমা কিশোরী ধর্ষণের কথিত অভিযোগ তুলেছিলো ২০১৭ সালে। যা পরবর্তীতে তদন্ত ও মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী মিথ্যা অভিযোগ থেকে সেনাদের দায়মুক্তি দেয়। ফারুয়াতে জেএসএস চাঁদাবাজি ও সাধারণ মানুষের উপর স্টিমরোলার পরিচালনা করে। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ চাঁদাবাজি বন্ধে সেনাবাহিনী অস্ত্রধারী জেএসএস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে৷ সেনা অভিযান বন্ধ করতে পরিকল্পিতভাবে জেএসএস মিথ্যা ও বানোয়াট খবর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রকাশ করছে। সেসাথে অভিযান থেকে বিরত রাখাসহ জনমনে নেতিবাচক ফেলার অংশ হিসেবে তথ্য সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
সূত্রগুলো বলছে, চাঁদাবাজি বন্ধে নিয়মিত সেনা টহল করছে সেনাবাহিনী। এই টহল বন্ধ করতে জেএসএস বিলাইছড়ি ফারুয়াতে নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে তথ্য সন্ত্রাস বৃদ্ধি পেয়ে। তথ্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে জেএসএস সেনা টহল বন্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভূয়া ও মিথ্যা ভরা তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্ভর। তাই এই মাধ্যমকে তারা সাংগঠনিক রক্ষায় এবং অরাজকতা টিকে রাখতে ভূয়া তথ্য ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। মূলত এটাই তাদের তথ্য সন্ত্রাস।

জানা যায়, গত ৫ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বিলাইছড়ি উপজেলার ৩নং ফারুয়া ইউনিয়নের ৮নং তাংকোয়তাং ওয়ার্ডের বিলাইছড়ি জোনের ৩২ বীর এর তাংকোয়তাং সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার কতৃক দুই জন জুম্ম ব্যাপক মারধরের শিকার হওয়ার যে, নামের তালিকা প্রকাশ করেছে- তাদের সঙ্গে কথা বলে উঠে এসেছে জেএসএস এর মিথ্যাচারের চক্রান্ত। নতুন বাবু তঞ্চঙ্গ্যা (৪০), পীং- পুনঙচান তঞ্চঙ্গ্যা ও কাজল বাবু তঞ্চঙ্গ্যা (৩৮), পীং- লক্ষিকুমার তঞ্চঙ্গ্যা। উভয় সাং- তাংকোয়তাং, ৮ নং ওয়ার্ড, ৩নং ফারুয়া ইউনিয়ন এদের মধ্যে কেউ সেনাবাহিনী কর্তৃক মারধর কিংবা হয়রানির শিকার হয়নি। মূলত জেএসএস মিথ্যা নাটক সাজিয়ে এদের পাঠার বলি বানাতে ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। যা উক্ত ব্যক্তিরা স্বীকার করেছে।

আরো জানা যায় বন আইন লঙ্ঘন করে জেএসএস অবৈধ কাঠ মজবুত করেছিলো চোরাই পথে পাচারের উদ্দেশ্য। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী তা বন্ধ করে দেয়। চাঁদার উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়াতে জেএসএস নানা মিথ্যা ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছে।

এছাড়াও জেএসএস সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছে এমন একটি বাড়িতে সেনাবাহিনী তল্লাশি চালাতে গেলে সন্ত্রাসীরা টের পেয়ে পালিয়ে যায়; আরো সন্ত্রাসীদের অবস্থান সেনারা শনাক্ত করেছে। এরপর থেকে জেএসএস সেনা অভিযান বন্ধ করতেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার ছড়িয়ে যাচ্ছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More