পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভারত সরকারের সহযোগীতায় আত্মপ্রকাশ করে।

0

||হিল ব্লগার||
১৯৭৩ সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশের বিরুদ্ধে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এম.এন লারমা) যখন স্বায়ত্তশাসনের দাবি রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) গঠন পূর্বক অস্ত্রধারী তথাকথিত শান্তিবাহিনী গঠন করেন তা ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ। পার্বত্য জন সংহতি সমিতির আদলে তথাকথিত শান্তিবাহিনী গঠন ভারত সরকারের তৎকালীন পরোক্ষ সহযোগীতা ছিলো। ভারতের মাটিতে শান্তিবাহিনীকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ, ভারতের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া, সীমান্তে বেপরোয়া অনুপ্রবেশ, ভারত হতে অস্ত্র চালান সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়া এসব ঘটনা জলন্ত প্রমাণ। তন্মধ্যে দেশের অন্যান্য সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া থাকার স্বত্বেও বিএসএফ-এর নির্বিচারে বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা, অন্যদিকে দেশের দক্ষিণ পূর্বাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে ভারতের কাঁটারহীন সীমান্ত থাকার স্বত্বেও কোন গুলি করে মানুষ হত্যার ঘটনা না ঘটা কি প্রমাণ করে না ভারত উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে? এসমস্ত বিষয়াদি বিচার বিশ্লেষণ করলে এটা অনুমেয় যে ভারত এদেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টি করে ভবিষ্যত পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের মূল ভূখণ্ড হতে দ্বিখণ্ডিত করতে সুদূর হতে তৎপর। রাষ্ট্রীয় বৃহত্তম গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ভারত দিচ্ছে। স্বাধীনতা প্রাপ্ত বাংলাদেশের ভবিষ্যতে লাগাম টেনে ধরার কৌশল হিসেবে ভারত এদেশে সন্ত্রাসীদের বিজ বপন করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী ভারত সরকারের সহযোগীতায় আত্মপ্রকাশ করে।
পার্বত্যাঞ্চলের ৪টি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ভারত থেকে অস্ত্র আমদানি করে। রাষ্ট্র যখন এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তখন ভারতের মাটিতে আশ্রয়ে চলে যায় এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা। ইউপিডিএফ-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা ও জেএসএস-এর সহ-সভাপতি পরিচয়দানকারী কুরুণালংকার ভিক্ষু (খাগড়াছড়ি দিঘীনালা) ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থান বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলে অস্থিরতা বৃদ্ধির মূল কারণ৷ রবি শংকর চাকমা ভারতে থেকে সাংগঠনিক তৎপরতা চালায় অন্যান্য দেশের সাথে কূটনীতিক তৎপরতা এগিয়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে কুরুণালংকার ভিক্ষু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত করছে৷ সেনাবাহিনী নিয়ে একের বর এক নেতিবাচক মন্তব্য করে করুণালংকার ভিক্ষু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছে৷ বিদেশী দাতা-সংস্থা ও মিশনারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে লগিং করে যাচ্ছে৷ তা-ছাড়া জেএসএস-ইউপিডিএফ-এর অধিকাংশ নেতাই পার্বত্যঞ্চলের সাথে ভারতের থাকা সীমান্ত দিয়ে অবাধে ভারতের মাটিতে বিচরণ করছে। ভারত সরকার কখনো পার্বত্য সীমান্তে দিয়ে বাংলাদেশী উপজাতীয়দের অনুপ্রবেশ নিয়ে কথা বলেনা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More