সেনা অভিযান ঠেকাতে পূর্বেও ইউপিডিএফ কর্তৃক কথিত অভিযোগ ও প্রোপাগান্ডার আয়োজন ছিলো।

0

|এম. কে আনোয়ার, রাঙ্গামাটি|

গতবছরের ২০২০ খ্রিঃ -এর ১৩ অক্টোবর রাঙামাটি নানিয়ারচর সেনাবাহিনীর উপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ। সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দিলে উভয়ের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে ইউপিডিএফ-এর দুই সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং ইউপিডিএফ-এর এলোপাতাড়ি গুলিতে এক সেনাসদস্যরা আহত হয়।

গত আগস্টে ২৮ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়ে রাঙামাটি লেকে মৎস্য আহরণ বন্ধ করে দেয় উপজাতীয় কতিপয় কয়েকটি সংগঠন। এরমধ্যে চাঁদা দাবিকারী হিসেবে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ ছিলো অন্যতম। মাছ ব্যবসায়ীদের হুমকি প্রদান করে নির্ধারিত সময়ে চাঁদা পরিশোধের৷ বিশাল পরিমাণ চাঁদা ব্যবসায়ীরা দিতে বর্থ্য হয় সন্ত্রাসীদের নির্ধারিত তারিখে। এর-পরে সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ীদের মুঠো ফোনে হুমকি দেয় লেকে জাল না ফেলতে। এ থেকেই জেলেরা লেকে জাল ফেলা একপ্রকার ভয়ে বন্ধ করে দেয়। ইউপিডিএফ-এর চাঁদা দাবি প্রসঙ্গ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সংবাদমাধ্যম সংবাদও প্রকাশিত হয়েছিলো তৎ সময়। পার্বত্য চট্টগ্রামের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদের ঝড় উঠে। ইউপিডিএফ- এর চাঁদা দাবির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর হতে ইউপিডিএফ চাঁদা আদায়ে আরো আগ্রাসী হয়ে উঠে। হুমকি-দামকির কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পরে জীবিকার তাগিদে কয়েকজন জেলে হুমকির স্বত্বেও জাল ফেলে এশিয়ার বৃহত্তম হ্রদে। এ খবর পেয়ে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা একজন ব্যবসায়ীকে ফোন দিয়ে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় চাঁদা দেওয়া ছাড়া জাল না ফেলতে। যদি জাল ফেলে তাহলে জাল কেড়ে নিয়ে জেলেকে হত্যা করা হবে পূর্বের ন্যায়ে! বিষয়টি তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীকে অবগত করেন, উক্ত ব্যবসায়ী। সেনাবাহিনী ব্যবসায়ীকে পরামর্শ দেয় সন্ত্রাসীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। চাঁদা দিবে এ নিমিত্তে ধারাবাহিক ভাবে ব্যবসায়ী যোগাযোগ রাখে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের আপন চাকমার সাথে। এবং চাঁদা দেওয়ার জন্য ঠিকানাও দিনক্ষণও ঠিক করে৷ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেনাবাহিনী উক্ত ব্যবসায়ীকে নিয়ে ঘটনার দিন বিকালে সন্ত্রাসীদের দেওয়া ঠিকানা নানিয়ারচর রউফ টিলা স্পীড বোটে পৌছে যায়। সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ করে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে। এতে সেনাবাহিনীও আত্মরক্ষার প্রবণতারই অংশ হিসেবে পাল্টা জবাব দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড গোলাগুলি হয়। ইউপিডিএফ- এর ২ সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়, তাদের থেকে একটি একে ২২ রাইফেল উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। ইউপিডিএফ-এর এলোপাতাড়ি গুলিতে শাহাবুদ্দিন নামে এক সেনাসদস্য কাঁধে গুলিবিদ্ধ হয়। অথচ এ ঘটনাকে ইউপিডিএফ আড়াল করে তারা মিথ্যাচারে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অভিযোগ সেনাবাহিনী তাদের এক সদস্য সহ এক নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে! ইউপিডিএফ- এর এ প্রোপ্রাগান্ডা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও কাল্পনিক গল্প কাহিনী। সাধারণ মানুষ জেনে গেছে প্রকৃত সত্য। সেইদিন যদি ইউপিডিএফ সেনাসদস্যকে গুলি না করে তাহলে কে করেছিলো গুলি?? সেনাবাহিনী নিরীহ নিরপরাধ মানুষদের হত্যা করেনা। বাংলার সেনাবাহিনী সম্পর্কে ইতিহাস ইতিবাচক। সেনাবাহিনীর অভিযান ঠেকাতে এ ধরনের কথিত অভিযোগ পূর্বেও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে করেছিলো সন্ত্রাসীরা! এমন সব কথিত অভিযোগ ও কাল্পনিক গল্প কাহিনী সাধারণ পার্বত্যবাসী প্রত্যাখান করেছিলো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আত্মমানবতার সেবায় সর্বত্র প্রশংসীত। পাহাড়ে ইউপিডিএফ- এর মতো সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজিতে সবচেয়ে বড়বাধা সেনাবাহিনী, তাই সেনাবাহিনীকে কূটকৌশলে প্রোপাগান্ডা করে বিতর্কিত করতে এ আয়োজন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More