২০১০ সালের বাঘাইছড়ি ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার!

0

| এনামুল হক, বাঘাইছড়ি |

পার্বত্য ইতিহাসের আরো একটি সংগঠিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা ছিল রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি সাজেকে ঘটনাটি। ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১০ খ্রিঃ হঠাৎ অতর্কিতভাবে বাঙ্গালীদের উপর হামলা শুধু করে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।

অথচ ইউপিডিএফ সেসময়কালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টি করেছিল। বাঘাইছড়ি গঙ্গারাম বাজার বন্ধ করে দিয়েছিলো। খোঁজ নিলে হয়তো জানা যাবে আজো সে গঙ্গারাম বাজার বন্ধ। চাকমাদের ঘর বাড়িতে ইউপিডিএফ হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছিল, সে ঘটনার জন্য চাকমারা ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছে। ইউপিডিএফ তার দায় এড়াতে সর্বশেষ স্বজাতিদের উপর আক্রমণ করে! সেদিন অসংখ্য উপজাতি বাঙ্গালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়, ইউএনডিপি, দাতাসংস্থা ও এনজিও গুলো হতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ পেতে এবং হাতিয়ে নিতে ইউপিডিএফ এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করেছিল।

সাজেকের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এলথাঙ্গা পাংখোয়া নিজেই স্বীকার করেছে সে ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা দায়ীই। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে অনেক সত্য কথা বলতে গিয়ে সর্বশেষ স্বজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে প্রাণ দিলো হলো এলথাঙ্গা পাংখোয়াকে। এটা কারোরই অজানা নয়।

বাঘাইছড়ির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বাঙ্গালী উপজাতি উভয় জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউপিডিএফ ও সেনা পুলিশের মধ্যে চলা গুলি বিনিময়ের সময় ২ জন গুলি বৃদ্ধ হয়ে মারা যায়। ৪ শতাধিক বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ। এই নিয়ে তৎকালীন তথাকথিত সংবাদমাধ্যম গুলো জঘন্যতম মিথ্যাচার রচিত করে। যদি প্রকৃত ঘটনা ছিল ভিন্ন। এই ঘটনার জন্য ভূমি দখল ইস্যু দেখিয়ে সেনা বাঙ্গালীদের সম্পূর্ণভাবে দায়ী করা হয়েছে। যদিও সম্পূর্ণ ঘটনা বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ সংগঠিত করেছিল। বাঘাইছড়ি ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের আজো আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। প্রশাসনও ইউপিডিএফ-এর নিকট নতজানু! এই ঘটনার জন্য শুধুমাত্র বাঙ্গালীদের আসামী করে হয়রানি করা হয়েছে৷ অথচ এই ঘটনার সূত্রপাত এবং সম্পূর্ণ ঘটনা নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের সকল নেতাকর্মীদের নামে মামলা হওয়ার কথা ছিল৷ পার্বত্য চট্টগ্রামে এযাবৎ যত গুলো গঠন ঘটেছে সবগুলোই ইউপিডিএফ, জেএসএস সহ উপজাতি সন্ত্রাসীরা সংগঠিত করেছে। দুঃখজনক এদেশের তথাকথিত সুশীল জ্ঞানপাপীরা ঘটনাগুলোর জন্য বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীকে দায়ী করে আসছে বরাবরই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More