সন্ত্রাসী কবল থেকে ফিরে আসা বাঙ্গালির অসহায়ত্ব কি রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকেরা দেখেনা? ভিডিও

0

||সৈয়দ মোস্তফা, খাগড়াছড়ি||

১৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার ২নং ইউনিয়ন, ৩নং ওয়ার্ডের মোল্লাবাজার ৮২টিলা ধূসরা নামক স্থানে গ্রামের অসহায় হত-দরিদ্র মানুষ নিজ নিজ পাহাড়ের জায়গায় কচু, হলুদের চাষাবাদের জন্য গেলে ১১ গ্রামবাসীকে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা করে মারাত্মকভাবে আহত করে। হামলা করার কারণ হিসেবে ইউপিডিএফ পাহাড়ে বাঙ্গালি প্রবেশ করার অজুহাত দাঁড় করিয়েছে!

হামলার শিকার ১১ বাঙ্গালি জানান, নিজ নিজ পাহাড়ের জায়গায়তে কাজ করতে গেলে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা তাদের অস্ত্র দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং বেধড়ক মারধর করে । গুলি করার হুমকি প্রদর্শন করে সবাইকে মারধর করে, এবং ফাঁকা জায়গাতে ৩ (তিন) রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে!! ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের কবল হতে ফিরে আসা বাঙ্গালিদের মধ্যে কয়েকজন হতাশার কন্ঠে সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের নির্মমতা তুলে ধরেন। ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের কবল হতে ফিরে আসা বাঙ্গালির অসহায়ত্ব বোধ এই রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকেরা দেখে না! আর যদি দেখতো তাহলে অবশ্যই রাষ্ট্র বাঙ্গালিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালি আগমনের ৪৩ বছর অতিবাহিত হলেও রাষ্ট্র তার দেওয়া কথা রাখে নি! যার কারণে পার্বত্য বাঙ্গালিরা পাহাড়ে অধিকার বঞ্চিত এবং অবহেলিত ও নির্যাতিত নিপীড়ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ধারা। উপজাতি সন্ত্রাসীদের হামলায় পাহাড়ে বাঙ্গালিরা প্রতিনিয়ত বিনাচিকিৎসা ধুঁকে ধুঁকে মরছে। রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পার্বত্য বাঙ্গালির জন্য নয়। শুধু বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা বরাদ্দ হয়।

হামলার শিকার বাঙ্গালিরা নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানান এবং সেনা ক্যাম্প স্থাপন সহ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। সরকার যদি বাঙ্গালিদের নিরাপত্তা ও রেকর্ডীয় জায়গা দখল দিতে না পারে সেক্ষেত্রেই সরকারকে বাঙ্গালিদের মেরে ফেলার জন্য বলেন বাঙ্গালিরা। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বাঙ্গালিরা এমনটাই বলেন। পার্বত্য পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা কতটা অপর্যাপ্ত হলে মানুষ নিজেদের মেরে ফেলার জন্য বলতে পারে তা বোধ্যগম নয়।

উপজাতি সন্ত্রাসীদের কবল থেকে ফিরে আসা বাঙ্গালিদের মুখে শুনুন ইউপিডিএফ-এর গুলি করার কথা।
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More