পার্বত্য চুক্তির পরে পাহাড়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।

0

পার্বত্য চট্টগ্রামের অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা অব্যাহত। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ফলে পাহাড়ে সেনাবাহিনী তথা সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধিত হয়েছে। এই উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র বিরোধী উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। পাহাড়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড যতই বৃদ্ধি পাবে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রবাজি, গুম-খুন ও চাঁদাবাজি এবং রাষ্ট্রদোহী কার্যক্রম ততই হ্রাস পাবে।

তাই পাহাড়ের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে উপজাতিদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দেশ বিরোধী ও উন্নয়ন বিরোধী এবং সেনাবাহিনী বিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সংযুক্ত হতে বাধ্য করছে জেএসএস ও ইউপিডিএফসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। সন্ত্রাসীরা উপলব্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামকে তাদের স্বপ্নের জুম্মল্যান্ড বানানো স্বপ্নই থেকে যাবে। কখনো বাস্তবায়ন করতে পারবেনা। কারণ পার্বত্য চট্রগ্রামে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অব্যাহত রয়েছে।

১৯৯৭ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর থেকে সেনাবাহিনী পাহাড়ে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর দরিদ্রতা বিমোচন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন;সচেতনতামূলক উদ্বুদ্ধকরণ এবং দক্ষতা উন্নয়ন পরিবর্তনে কাজ করছে। সেনাবাহিনী চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে আর্থিক সহায়তা, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নানান জনহিতকর কর্মকাণ্ডের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ভাল্লুকে আক্রান্ত উপজাতি নারী-পুরুষ ও শিশুদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেছে। এমনকি দুর্গম এলাকার উপজাতি প্রসূতি মায়েদের হেলিকপ্টার যোগে সামরিক হাসপাতালে এনে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করেছে। শীতার্ত উপজাতিদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে। করোনা কালীন সময়ে পাহাড়ের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিয়েছে। যেখানে পানির তীব্র সংকট সেখানে পানির ব্যবস্থা করেছে। পাহাড় ধ্বসের সময় সেনাসদস্যরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছে। অর্থনৈতিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য যোগাযোগ খাতে অভূত সাফল্যের কারণে পাহাড়ের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত সেনাবাহিনী। সাধারণ উপজাতিরা সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডে অনেক খুশি। শুধুমাত্র উপজাতি সন্ত্রাসী এবং কিছুসংখ্যক উগ্র উপজাতি নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে৷

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর থেকে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতে নানান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সাধিত করেছে। নানিয়ারচর সেতু পাহাড়কে নতুন দিগন্তে পৌছে দিয়েছে। পাহাড়ে এমন অনেক উন্নয়নের চিত্র দৃশ্যমান। চুক্তির পর সরকার উপজাতিদের আর্থিক সহায়তা দেয়াসহ দুর্গম এলাকায় সোলার প্যানেল বিতরণ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছে। দৃশ্যমান উন্নয়ন গুলো হচ্ছে- হাসপাতাল-ক্লিনিক- ২৭০ টি, কলকারখানা- ২২৩ টি, কিয়াং (বৌদ্ধ উপাসনালয়)-৫৪১ টি এবং গির্জা ৪৪০ টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- সরকারি প্রাইমারি স্কুল- ৫৪৮ টি, বেসরকারি- ২৬৪ টি, হাইস্কুল সরকারি- ২৭৩ টি, বেসরকারি- ১৭৩ টি, কলেজ সরকারি-৭ টি, বেসরকারি- ১৮ টি, পলিটেকনিক কলেজ সরকারি-৪ টি, বেসরকারি-৭ টি, নাসিং ইনস্টিটিউট সরকারি-১ টি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি-১ টি, বেসরকারি-২ টি, মেডিকেল কলেজ সরকারি-১ টি। এছাড়াও আরো অগণিত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সরকার চুক্তির পরে করেছে।

তাই ব্যর্থতার আগুনে দগ্ধ হয়ে উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী ও সরকারের বিরুদ্ধে চুক্তি বাস্তবায়ন করছে না বলে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছে। চুক্তির ৯০% সরকার বাস্তবায়ন করেছে। পরিপূর্ণ চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারকে জেএসএস সহযোগিতা করছে না। চুক্তি বাস্তবায়নে দায়বদ্ধতা শুধু সরকারের নয় জেএসএস এরও দায়বদ্ধতা অবশ্যই আছে। মূলত সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের উন্নয়নবিরোধী।

পাহাড়ের সাধারণ উপজাতি জনগোষ্ঠীকে অস্ত্রের ভয় এবং জীবননাশের হুমকি দিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করছে। পাহাড়ে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে উপজাতিদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মাঠে নামাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি বা জেএসএস ও ইউপিডিএফ।

৭১ সালের পরাজিত শক্তি রাজাকার ত্রিদিব রায়ের উত্তরসূরি সন্তু গংদের পরিচালিত সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ প্রসিতসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনকে বলে দিতে চাই, পাহাড়ের মানুষ উন্নয়ন চায়, পর্যটন চায়, পাহাড়ের মানুষ ফাইভ স্টার হোটেল চায় এবং পাহাড়ের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনীর অবাধ বিচরণ চায়।

পাহাড়ের মানুষের এসব চাহিদাকে নিঃশর্তে যদি গ্রহণ করতে পারেন এবং চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসীর পথ পরিহার করতে পারেন, তাহলে এখনো সময় আছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন সরকার অবশ্যই সাধুবাদ জানাবে।

অন্যথায় দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সন্ত্রাসীদের পাহাড়ের আপামর জনতা মেনে নিবে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More