ইমতিয়াজ মাহমুদ ব্যক্তিত্বহীন, মনুষ্যত্বহীন, বিবেকহীন ও স্পর্ধাহীন।

0

পাহাড় নিয়ে গুজব রটিয়ে সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ইমতিয়াজ মাহমুদ নারী লোভী ও নিকৃষ্ট ব্যক্তি।1

সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনী ইস্যুতে ইমতিয়াজ মাহমুদ একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে। স্ট্যাটাস’টি নিয়ে নানান বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সে মূলত আলোচনায় থাকার জন্য এবং পাহাড়ী সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোর নজরে আসতেই এধরণের বিতর্কিত স্ট্যাটাস প্রায় করে থাকেন। তাকে অনেকেই নারী লোভী হিসেবেও চেনার কথা। নিজের মেয়ে বয়সী মেয়েকেও ছাড়েন না। পাহাড়ী মেয়েদের উপরও তার লোভ থাকতে পারে। কারণ সাধারণত সে কোন উদ্দেশ্য বা লাভ ছাড়া কারোই গুনগান করেন না। যেহেতু তার পার্বত্য চট্টগ্রামের উপর বিশেষ জ্ঞান বা গবেষণা নেই সেহেতু পার্বত্যের মত স্পর্শকাতর এলাকা নিয়ে তার মাতামাতি ও বিতর্কিত স্ট্যাটাস এবং একটি জাতি নিয়ে তোষামোদ করা নিঃসন্দেহে বলা যায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার যে স্ট্যাটাস’টা নিয়ে প্রসঙ্গ শুরু করেছি সে স্ট্যাটাস’টির আংশিক হুবাহু আপনাদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরছি- “আপনারা ভালমানুষেরা, আপনারা যখন আজ আমার মতই ফিলিস্তিনিদের জন্যে কাঁদবেন, চোখের জল ফেলবেন- মেহেরবানী করে এক ফোঁটা আশ্রু আপনার পাশের বাড়ীর আপনজন আদিবাসীদের জন্যেও ফেলবেন। ফিলিস্তিনিদের পক্ষ হয়ে যখন প্রতিবাদ করবেন, তখন আমাদের পাহাড়ের জন্যেও একটা দুইটা বাক্য বলবেন। সেটা যদি আপনি না করেন, ফিলিস্তিনিদের জন্যে আপনার প্রতিবাদ ন্যায়সঙ্গত হবে না। গাজায় মৃত্যু আতঙ্কে থাকা ফিলিস্তিনিদের অবস্থা সম্ভবত আমি খানিকটা অনুভব করতে পারি। মাত্রাগত তারতম্য থাকলেও মোটামুটি (প্রায় বা অনেকাংশেই) একইরকম ঘটনা আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমিতেও দেখেছি। সত্তরের দশকের শেষদিকে, জেনারেল জিয়াউর রহমান তখন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, তাঁর নির্দেশে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমতল থেকে নিয়ে গিয়ে অসংখ্য বাঙালী পরিবারকে সেটেলমেন্ট দেওয়া হলো। প্রতিটি পরিবারকে ভূমি বরাদ্দ দেওয়া হলো, নগদ টাকা দেওয়া হলো আর সাথে রেশন দেওয়া। সর্বশেষ যখন আমি খবর নিয়েছি, এই সেটেলাররা এখনো নিয়মিত রেশন পায়। আর দুই ক্ষেত্রেই, সেই সেটেলারদের পৃষ্ঠপোষক ও পাহারাদার হিসাবে নিয়োজিত আছে সশস্ত্র বাহিনী। এইসব বাহিনী আপনার পাড়ায় গ্রামে ওদের বুটের আওয়াজ তুলে টহল দিচ্ছে। স্থানীয় আদিবাসীদের দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে, যখন তখন তল্লাশি করছে। সেটেলাররা ছুতানাতায় স্থানীয় ক্যাম্পে গিয়ে নালিশ করে। সরকারী বাহিনীর হাতে মাঝে মাঝেই নিহত হয় বা নির্যাতিত হয় আপনাদের লোকজন। প্যালেস্টাইন আর বাংলাদেশের পরিস্থিতির মধ্যে পার্থক্য নিশ্চয়ই আছে।
আমার হৃদয় ফিলিস্তিনিদের কাছে চলে যায়- কোন ধর্মীয় কারণে নয়, ফিলিস্তিনিদের মধ্যে মুসলমান আছে খৃস্টান আছে, অল্প কিছু অন্যান্য ধর্মাবলম্বীও আছে। মায়া আমার ইহুদীদের জন্যেও আছে- শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ওদের প্রতি যে অন্যায় হয়েছে সে তো আমি অস্বীকার করতে পারি না।”

তার উক্ত মন্তব্য বা লেখার বিশ্লেষণ করেই লেখার পর্যাপ্ত সময় আমার হাতে নেই। কারণ তার মত নোংরা, নারী লোভী ও নিকৃষ্ট মানুষকে আমি আলোচনায় আনতে চাইনা। ইমতিয়াজ মাহমুদ ব্যক্তিত্বহীন, মনুষ্যত্বহীন, বিবেকহীন ও স্পর্ধাহীন। সে ফিলিস্তিনীর সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের তুলনা করছে৷ ফিলিস্তিনীর মানুষ নির্যাতিত এটা আমরা প্রায় অধিকাংশ বিশ্বাস করি। কিন্তু বর্ণচুরির মাধ্যমে ফিলিস্তিনী ইস্যুকে পুঁজি করা যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা পরিষ্কার। ফিলিস্তিনীতে যেভাবে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করে ইহুদীরা দখলদারের ভূমিকায় ঠিক সেভাবেই কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৭৩০ সাল নাগাদ উদ্বাস্তু হিসেবে এসে উপজাতিরা এখন দখলদারিত্ব করছে। কিন্তু সে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের দখলদারিত্বের কথা না বলে বাঙ্গালীদের দখলদারিত্বের কথা উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনী সূত্রেই। ফিলিস্তিনীরা যেভাবে নির্যাতিত দখলদার ইসরায়েল ইহুদী কর্তৃক ঠিক সেভাবেই পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীরাও নিজভূমিতে দখলদার উপজাতি কর্তৃক নির্যাতিত হচ্ছে। কিন্তু সে এই চরম সত্য কথা না বলে বাঙ্গালী ও নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক উপজাতি নির্যাতিত হচ্ছে বলে ফিলিস্তিনী ইস্যু উদাহরণ টেনে এনে বর্ণচুরি করেছে। সে সাথে সে দখলদার ইসরায়েলের জন্য মায়াকান্না করেছে!

ইমতিয়াজ মাহমুদ সম্পর্কে জানতে গিয়ে অথাৎ কেঁচো খুঁজতে গিয়ে সাপ বের করার উপক্রম হয়েছে-

ইমতিয়াজ মাহমুদ কে বা তার পেশা কী এবং তার চরিত্র কেমন তা জেনে নেওয়া যাক-

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে জঘন্যতম মিথ্যাচার ও গুজব রচিতকারী বুদ্ধিজীবি ও জ্ঞানপাপী, নারী লোভী নিকৃষ্ট এক ব্যক্তি ইমতিয়াজ মাহমুদ। তথ্যানুসন্ধানু জানা যায়, ইমতিয়াজ মাহমুদ পেশায় একজন আইনজীবি। এই পেশাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নানান অপকর্মে লিপ্ত। সুশীল বেশধারী, নিজেকে অনেক সচেতন এবং প্রগতিশীল ও পন্ডিত মনে করেন। সে রুচিহীন এবং নির্লজ্জ বেহায়া প্রকৃতির ব্যক্তি। নারীর প্রতি তার চরম লোভ ও খায়েশ রয়েছে। মিথ্যাবাদী এক প্রতারকও বটে। বিগত বছর তার বিরুদ্ধে নারী সংঘটিত অভিযোগও ওঠে। বিভিন্নভাবে ফাঁদ পেতে নারীদের ভোগ করে সে। এই নিয়ে গত ২০১৮ সালে এক নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে ইমতিয়াজ মাহমুদের চরিত্র উন্মোচন করেন। ২০১৮ সালে জান্নাতুন নাঈম প্রীতি নামক এক নারীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে সমালোচিত হন। ঘরে বৌ বাচ্চা রেখে মেয়ের বয়সী মেয়ের কাছ থেকে দৈহিক বিনোদন নেয়া ওনার কাছে অন্যায় মনে হয়নি, কোন অনুশোচনা কিংবা মার্জনা প্রার্থনার কথা ওনার কাছ থেকে শোনা যায়নি। নারী সংঘটিত বিষয়ের নিউজ লিংক-
https://bangladeshchapter.com/others/9417134

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করার জন্য একের পর উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে পাহাড় অশান্ত করার মত ঘৃণিত কাজে সে বরাবরই জড়িত৷ গত ২০১৭ সালের ২১-শে জুলাই তার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক লেখালেখির কারণে খাগড়াছড়ি সদর থানায় তথ্য প্রযুক্তির ৫৭(২) ধারায় মামলা রুজু হয়। যাহার মামলা নাম্বার ১৭, তারিখ ২১ শে জুলাই ২০১৭ খ্রিঃ। বাদী মোঃ শফিকুল ইসলাম, মহালছড়ি। খাগড়াছড়ি রামগড়ে বাঙ্গালি ও সেনাবাহিনী কর্তৃক উপজাতিদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে গুজব রটিয়ে দেয় এই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নারী লোভী ও জাত কুলাঙ্গার, নিকৃষ্ট ইমতিয়াজ মাহমুদ৷ তারপর তার বিরুদ্ধে একটি জিডি এবং তথ্য প্রযুক্তির মামলা হয়েছে। সে মামলায় গ্রেফতারও হয়। কিন্তু এদেশীয় ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীর ইশারায় সে ছাড়া পেয়ে যায়! জিডি এবং তার বিরুদ্ধে মামলা থাকার পরেও সে কীভাবে একের পর মিথ্যাচার রটিয়ে দেয় পাহাড়ের মানুষ সম্পর্কে? তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? তার খুঁটির জোর কোথায়? সাম্প্রদায়িক মনোভাবের এই ব্যক্তি পাহাড়ে দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টি করার জন্য উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছে ফেসবুকে। বিষয়টি নিয়ে নজর দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলসহ উপজাতি-বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করার অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হোক। উপজাতি-বাঙ্গালির সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ও উগ্রবাদী সমতলের এই কুখ্যাত ব্যক্তিকে অতিবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।

পাহাড় নিয়ে তার ফেসবুক টাইমলাইনে যত স্ট্যাটাস আছে প্রায় সব স্ট্যাটাস বাঙ্গালি ও সেনাবাহিনী বিরোধী। পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালি জনগোষ্ঠী এবং সেনাবাহিনীর উপস্থিতি কোনভাবেই ইমতিয়াজ মাহমুদ মেনে নিতে পারছে না। উপজাতিদের প্রতি তার দরদ উথলায় পড়ে৷ সে একজন রাষ্ট্রদ্রোহী। বাঙ্গালিদের প্রতি তার চরম বিদ্বেষমূলক আচরণ এবং প্রতিক্রিয়া সবসময় থাকে। তার ফেসবুক টাইমলাইনে গেলে প্রমাণ মিলবে। উগ্রবাদী মতবাদের মানুষ সে। চরম বাঙ্গালি বিরোধী সে। বাম ধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়। স্বাধীন মতপ্রকাশের অংশ হিসেবে প্রতিনিয়ত পাহাড়ের বাঙ্গালি ও সেনাবাহিনীকে ধুয়ে দিচ্ছে এই নারী লোভী নিকৃষ্ট কুলাঙ্গার।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্বেকার ঘটনা এবং বর্তমান কিছু ঘটনাকে রং দিয়ে গুজব রটিয়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টি করার পায়তারা করছে ইমতিয়াজ মাহমুদ। ৯৬ ঘন্টা পূর্বের তার ফেসবুক পোস্ট লিংক-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid02zZnuX6vwEg8kndtmbnTN3REAdfeXsniH5jYw6cqKyogRk3jmaQpUArHDKajgUfqel&id=1485282836&mibextid=Nif5oz

২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী Imtiaz Mahmood ( ইমতিয়াজ মাহমুদ) এর ফেসবুক আইডির স্ট্যাটাসের দ্বিতীয় খন্ড।
আইডির স্ট্যাটাসের লিংক…
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10225374260291884&id=1485282836

কথিত আছে পাহাড়ের উপজাতি নারীদের ভোগ করতে সে উপজাতিদের পক্ষে চাটুকারিতা করে। সহজসরল উপজাতি নারীদের ভোগ করার পথ সুগম করার জন্য সে পাহাড়ের বাঙ্গালি ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো এবং মিথ্যা, বানোয়াট মূলক লেখালেখি করে উপজাতি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোর নজরে আসতে চায়!

একজন নারী লোভী জাত কুলাঙ্গার, চরিত্রহীন, কুরুচিপূর্ণ ব্যক্তি কখনো উপজাতি জনগোষ্ঠীর শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারে না। শুধুমাত্র উপজাতি নারীদের ভোগ করার জন্য সে উপজাতিদের পক্ষে লেখালেখি করে পাহাড়ের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে তৎপর রয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More